Wednesday, 18 December 2013

Today's Birthday


Thomas Tickell
Poet
Thomas Tickell was a minor English poet and man of letters.
Born: December 17, 1685, Bridekirk, United Kingdom
Died: April 23, 1740
Education: St. Bees School, The Queen's College, Oxford University


The Daily Online Post

Daily Quotes

Tuesday, 17 December 2013

Daily Quotes

কোন জেলার মেয়েরা কেমন বিয়ের আগে তা জেনে নিন।

বিয়ে করার কথা ভাবছেন? সাবধান! জেনে নিন কোন জেলার মেয়েরা কেমন? তারপর সিদ্ধান্ত নিন কার ঘাড়ে লটকাবেন? কাকে দিয়ে ঘাড় মটকাবেন?! (এই লেখা নানা ব্লগ, ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। বাস্তবের সাথে মিলে গেলেও জেতে পারে)

১. যশোর খুলনার মেয়েরা অনেক সুন্দরী। প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। কুটনামিতে ওস্তাদ। শ্বশুর বাড়ির কাউকে দুই চোখে দেখতে পারেনা। পরকিয়া প্রেমের ওস্তাদ।

২. চট্টগ্রামের মেয়েরা বাইরের জেলার ছেলেদের ব্যাপারে অনাগ্রহী। কিছুটা কঞ্জারভেটিভ।

৩. সিলেটি মেয়েরা পর্দানশীন বেশি। কিন্তু, কোথাও কোথাও ঘাপলা আছে।

৪. পুরান ঢাকার মেয়েরা অনেক দিলখোস। অনেক খরুচে। কিন্তু রুচিহীন।

৫. খুলনার মেয়েরা স্বামী অন্তপ্রাণ। খুলনার মেয়েরা নাকি ফ্যামিলির ব্যাপারে একটু সিরিয়াস টাইপের হয়৷

৬. উত্তর বঙের মেয়েরা কোমলমতী হয় এবং বেকুব ও আনক্রিয়েটিভ।

৭. বরিশালের মেয়েরা একটু ঝগড়াটে, ভালো রাঁধুনী, ন্যাচালার সুন্দরী, সংসারী এবং স্বামীভক্ত। কিন্তু বরিশাল থেকে সাবধান, যতই সুন্দর হোক, জীবন বরবাদ করে দেবে।

৮. ময়মনসিংহের মেয়েরা একটু বোকাসোকা, কেউবা বদমাইশ। কেউ কেউ স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।

৯. সিরাজগন্জের মেয়েরা ভালো, যদি শান্তিতে ঘর করতে চান।

১০. বগুরার মেয়েরা ঝাল।

১১. কুস্ষ্টিয়ার মেয়েরা নিজেদের অনেক রোমান্টিক ভাবে। কিন্তু আদতে নয়। তবে এরা ভাল মননশীল, রুচিসম্পন্ন। যাকে ভালবাসে সত্যিকারের ভালবাসে, কোন রাখঢাক নাই।

১২. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়েরা পলটিবাজ কিন্তু পতিভক্ত ও সংসারী।

১৩. রাজশাহীর মেয়েরা একটু লুজ।

১৪. পাবনার মেয়েরা কুটনা হয়ে থাকে।

১৫. জামালপুরের মেয়েরা বেশি স্মার্ট এবং ডেয়ারিং। এই জেলায় সুন্দরীদের ঘনত্ব বেশি।

১৬. নোয়াখালী: বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভুলতে চাইলে নোয়াখালীর মেয়েদের তুলনা নেই। বেশির ভাগ মেয়ে কারো কথার নিছে থাকতে চায় না। এরা চরম কুটনা হয়। তবে তারা শশুড়বাড়ির জন্য করতে চাইলে নিজের সব দিয়ে করে, না করলে নাই!

১৭. ফরিদপুরের মেয়েরা চোরা স্বভাবের।ওদের মত কুটিল প্যাচের মানুষ খুব কমই হয়। জিলাপি নাকি এই জেলাতে আবিস্কার হইসে। আগে এতা লম্বা ছিল। পরে ফরিদপুরে এসে এতা প্যাচ নেয়।

১৮. কুমিল্লার মেয়েরা শ্বশুরবাড়ির মানুষদের পছন্দ করেনা। কুমিল্লার মেয়েরা সুন্দরী, অনেক দায়িত্বশীল, তবে সংসারে প্রভাব বিস্তার করতে বেশি পছন্দ করে। ঘটনা সত্য রে ভাই!

১৯. টাংগাইলের মেয়েরা খুব ভাল হয়, বান্ধুবী হিসেবেতো বটেই, পাত্রী হিসেবেও। .এ অঞ্চলের মাইয়াগুলো দুনিয়ার বজ্জাত… তবে বান্ধবী হিসাবে ভালু… একটু দিলখোলা টাইপের।

২০. মাদারিপুরের মেয়েরা খুবই কিউট, খুব খরচে, জামাইয়ের পকেট ফাকা করতে উস্তাদ। কোটি পতি জামাইকে লাখ পতি বানান এদের হাতের মোয়া।

২১. চাঁদপুরের মেয়েরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, অথিতিপরায়াণ।তাদের সরল ভালবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। আর শ্বশুরবাড়ী চাঁদপুর হলে ইলিশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আর আসল কথা হলো চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপীর থেকেও বেশী। চাদপুরের মেয়েরা ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।

২২. দিনাজপুরের মেয়েরা খুব সুন্দরী হয়।

২৩. চাপাই নবাবগঞ্জের মানুষ সরল মনের অধিকারী। বেকুব কিসিমের, তবে সবাই না।

২৪. গাজীপুরের মেয়েরা খুব ই ভাল, মিশুক এবং রসিক। এখাঙ্কার মেয়েরা জেদী, লাজুক, মিডিয়াম সুন্দর, মিডিয়াম স্মার্ট এবং সংস্কৃতি মনা। তবে জেগুলা খারাপ সেইগুলা বদের হাড্ডি। ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।

২৫. নরসিংদীর মেয়েরা উড়ালপঙ্খীর মতো তাদের মন আর চলার ঢং।

২৬. কিশোরগঞ্জের মেয়েরা একটু বোকাসোকা আর ডেয়ারিং প্রকৃতির। মিশুক, বন্ধুপাগল বা বন্ধুপ্রেমী হয়। স্বামী ভক্ত হয় তবে এমনও হতে পারে যে সারাজীবন বউয়ের দ্বারা নিগৃহীত হওয়া; অসম্ভব কিছু না।

২৭. নারায়নগঞ্জের মেয়েরা অতিশয় ভালো, ভদ্র, সামাজিক, কীভাবে পরিবার আর মুরুব্বিদের সামলাতে হয় তারা খুব ভালো জানে। সংসারে ঝামেলাহীন য়ার সবসময় হাসি-খুশি, মিলেমিশে থাকে এমন বউ আনতে চাইলে নারায়নগঞ্জের মেয়েরাই সেরা।… কথা ১০০% সত্যি। খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। তবে সাবধান ও থাকা ভাল।

সূত্র: ইন্টারনেট

The Daily Online Post

Monday, 9 December 2013

এবার স্মার্টফোনে অপরাধ মানচিত্র

এবার স্মার্টফোনে দেখা যাবে ঢাকার বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকার মানচিত্র। সেই সাথে যেকোনো এলাকায় গত কয়েক মাসে সংগঠিত অপরাধের তালিকাও পেয়ে যাবেন হাতের মুঠোই।

‘অপরাধ মানচিত্র ঢাকা’ নামে স্মার্টফোনের অ্যাপসটি তৈরি করেছেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশে টেক. ইভ্যাঞ্জেলিস্ট তানজিম সাকীব। অ্যাপসটির ভাষা বাংলা।

এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার আশেপাশের এলাকার গত জুলাই থেকে অক্টোবরে ঘটে যাওয়া অপরাধগুলোর তালিকা দেখতে পাবেন।

ডিএমপি থেকে প্রাপ্ত তথ্যাবলি দিয়ে খুন, অপহরণ, ছিনতাই প্রভৃতি অভিযোগ/মামলাকৃত অপরাধ নিয়ে মানচিত্রটি তৈরি হয়েছে।

এটি কোনো বিশেষ এলাকায় ভ্রমণ-সতর্কতা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।

নির্মাতা তানজিম সাকীব বলেন, “এদেশের বেশিরভাগ জিনিসই ডিজিটাল হওয়ার অপেক্ষায়। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যাপসটি তৈরি করা। আমার এ উদ্যোগে মোবাইল ব্যবহারকারীরা কিছুটা হলেও উপকার পাবেন।

Source: Newspaper
The Daily Online Post

Daily Quotes

Sunday, 8 December 2013

Daily Quotes

Nelson Mandela

1918–1936


Mandela was born on 18 July 1918 in the village of Mvezo in Umtatu, then a part of South Africa's Cape Province. Given the forename Rolihlahla, a Xhosa term colloquially meaning "troublemaker", in later years he became known by his clan name, Madiba. His patrilineal great-grandfather, Ngubengcuka, was ruler of the Thembu people in the Transkeian Territories of South Africa's modern Eastern Cape province. One of this king's sons, named Mandela, became Nelson's grandfather and the source of his surname. Because Mandela was only the king's child by a wife of the Ixhiba clan, a so-called "Left-Hand House", the descendants of his cadet branch of the royal family were morganatic, ineligible to inherit the throne but recognized as hereditary royal councillors. His father, Gadla Henry Mphakanyiswa, was a local chief and councillor to the monarch; he had been appointed to the position in 1915, after his predecessor was accused of corruption by a governing white magistrate. In 1926, Gadla, too, was sacked for corruption, but Nelson would be told that he had lost his job for standing up to the magistrate's unreasonable demands. A devotee of the god Qamata, Gadla was a polygamist, having four wives, four sons and nine daughters, who lived in different villages. Nelson's mother was Gadla's third wife, Nosekeni Fanny, who was daughter of Nkedama of the Right Hand House and a member of the amaMpemvu clan of Xhosa.
Later stating that his early life was dominated by "custom, ritual and taboo", Mandela grew up with two sisters in his mother's kraal in the village of Qunu, where he tended herds as a cattle-boy, spending much time outside with other boys. Both his parents were illiterate, but being a devout Christian, his mother sent him to a local Methodist school when he was about seven. Baptised a Methodist, Mandela was given the English forename of "Nelson" by his teacher. When Mandela was about nine, his father came to stay at Qunu, where he died of an undiagnosed ailment which Mandela believed to be lung disease. Feeling "cut adrift", he later said that he inherited his father's "proud rebelliousness" and "stubborn sense of fairness".

His mother took Mandela to the "Great Place" palace at Mqhekezweni, where he was entrusted under the guardianship of Thembu regent, Chief Jongintaba Dalindyebo. Although he would not see his mother again for many years, Mandela felt that Jongintaba and his wife Noengland treated him as their own child, raising him alongside their son Justice and daughter Nomafu. As Mandela attended church services every Sunday with his guardians, Christianity became a significant part of his life.He attended a Methodist mission school located next to the palace, studying English, Xhosa, history and geography. He developed a love of African history, listening to the tales told by elderly visitors to the palace, and becoming influenced by the anti-imperialist rhetoric of Chief Joyi. At the time he nevertheless considered the European colonialists as benefactors, not oppressors. Aged 16, he, Justice and several other boys travelled to Tyhalarha to undergo the circumcision ritual that symbolically marked their transition from boys to men; the rite over, he was given the name Dalibunga.
Nelson Mandela
Source: Click Here

Daily Quotes


Like Us: The Daily Online Post

Saturday, 30 November 2013

Technology & modern life " turning off sex"

  Money worries and the distractions of social media mean people are having sex less frequently, researchers say.
A once-a-decade poll of 15,000 Britons found those aged 16-44 were having sex fewer than five times a month.
The figure compared with more than six times a month on the last two occasions when the official National Survey of Sexual Attitudes and Lifestyles was carried out, in 1990-91 and 1999-2001.
The study's authors say modern life may be having an impact on libidos.
Dr Cath Mercer, from University College London, said: "People are worried about their jobs, worried about money. They are not in the mood for sex.
"But we also think modern technologies are behind the trend too. People have tablets and smartphones and they are taking them into the bedroom, using Twitter and Facebook, answering emails."
Graph showing how many times 16-44 year olds have sex a month
She also said the survey suggested that couples aged 16 to 44 may be using online porn as a substitute for sex.

Trends

  • Couples having less sex each month on average
  • More women having sex with women
  • For both men and women, the average number of partners of opposite sex has increased
  • Younger people having sex at an early age
Men polled in 2010 to 2012 reported having sex 4.9 times a month and women 4.8. In both previous surveys the averages were more than six for both sexes both times.
The survey carried out by NatCen Social Research and analysed by researchers from University College London and the London School of Hygiene and Tropical Medicine also asked older people about their sex lives.
It found 42% of women and 60% of men aged 65 to 74 had had sex in the past year.
Nonetheless, they were the age groups having the least sex - 2.3 times a month for men and 1.4 for women.

Among men, the 25-to-34 age group were having the most sex - 5.4 times a month - and for women it was the 16-to-24 age group, 5.8 times.
The latest survey, which is carried out every 10 years, also shows the age at which people start having sex is lower in the younger age groups.
The average age for the under-25s is 16 compared with 19 for men and 18 for women in the 65-to-74 age group.
Among other findings:
  • One in six pregnancies in the UK is unplanned.
  • About half of men and women have had a recent sexual problem, but only a 10th of those interviewed were distressed or worried about their sex lives.
  • Lack of interest in sex is one of the most commonly reported problems, and one not confined to women - around 15% of men had experienced loss of libido.
  • Since the last survey in 2000 people have become more accepting of same-sex relationships but less tolerant of cheating spouses. For more about how attitudes have changed read more here.
  • The average woman aged under 44 said they had had 7.7 partners over their lifetime, while for men it was 11.7.
  • Some 3.6% of men had paid for sex in the last five years. Hardly any women had.

Genevieve Edwards, from Marie Stopes International, said: "A key insight from the survey is that people are having sex earlier and having children later, which means that, on average, women in Britain spend about 30 years of their life needing to avert an unplanned pregnancy, yet many are not being informed about or offered the full range of services.
"Long-acting contraceptives, for example, can be extremely effective and convenient but too many are never offered the choice."
But the poll - the full details of which have been reported in the Lancet - also revealed the extent to which people are forced to have sex against their will.
One in 10 women and one in 70 men said they had experienced it.
However, fewer than half had told anyone about it and even fewer (13% of women and 8% of men) had reported the crime to the police.
A selection of your comments:
A most interesting report, some of the findings confirming what I had suspected for some time. I am a 72-year-old bloke still married to the first Mrs Barnett after 50+ years. And also still enjoying (though less frequently) what has been a most satisfactory sex life all through our marriage. Maybe that's why we're still together after all this time! I'm also very interested in many aspects of the ageing process and sex in 'mature life' is rarely talked about. Hence revelations about the sex life of the 65-74 age group are of great interest to me. I'd like to see the medics do more research and publish their findings in this field. We 'oldies' are still enjoying life while we can and sex is, to me, a vital part of that enjoyment. It's not just about drinking wine and Saga holidays!
Barry Barnett, Cheadle, Staffordshire
This has hit the nail right on the head! In my situation, it's all thanks to good old Candy Crush (the game). My sex life has nearly vanished thanks to this game. Not just my sex life with my partner but our social relationship as well. The only "thing" keeping us together are the kids. Do I blame social media and candy crush? Yes I do, especially after I've done everything in my power to fix this! She's addicted and needs help.
Jacques, England
This is very interesting since the birth rate is the highest in many years. The thing is sexual energy is fabulous for the soul, in fact it's vital! The worries about money and the social media distractions really are just excuses to not focus on your relationship. Communication breakdown is such an issue in these circumstances and only compound the problem. Stop hiding and face reality, it will improve your life in ways that you could not have imagined.
Clare Turner-Marshall, Grendon, Warwickshire
We are first time parents and have a beautiful (unplanned) three-month-old daughter. She was a love child - the result of what was once an incredibly active sex life. Now, we haven't had sex in about five months. It hasn't impacted too much on our relationship - we are still happy and in love, but it's concerning. Neither of us are interested, for various reasons (mainly having a baby constantly attached to me!) but recently we've made an agreement that we need to spend less time on social media sites. We don't like the fact that our daughter has started to stare gormlessly into the screens of our lap tops and phones, and we hate the fact that we can spend almost a whole evening sat beside each other but interacting only with our computers. Maybe this change will help us to re-ignite our life between the sheets, who knows. But I can relate to what this article is saying about technology affecting peoples sex lives.
Elizabeth, Brighton
It is refreshing to read a report like this. I am 72 have been married for 27 years and have not had sex since 2006. My wife thinks that it is an activity strictly for the young. It is something that we no longer talk about and she looks disgusted when I approach the subject. Personally I think that it is a perfectly natural thing for people to do when they love each other, no matter what age. We have two dogs, three TVs, two PCs, and two tablets - not to mention the phones. Perhaps I should get rid of them all.
Roger, Sheffield
The stress of modern life and the increasing expectations placed upon us to achieve more than we needed to achieve 20 years ago has lead to a deterioration in relationships. As a therapist, this report does not surprise me, as my experience in the last few years has been that I have seen increasing numbers of people who are looking for help to make their relationships better.

Thursday, 28 November 2013

যে কারণে ইউনূসের বিরুদ্ধে হাসিনা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণেই গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্বিতীয় দফায় বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি নিবন্ধে। বৃহস্পতিবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে এর 'টিওআই কন্ট্রিবিউটর' রাশিদুল বারি 'দ্য নেভার-এন্ডিং ট্রায়াল অব মুহাম্মদ ইউনূস' নামে এ নিবন্ধটি লিখেছেন।

এতে ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতিবাচক আচরণের তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়, "মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের পর থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসই হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি নোবেল পুরস্কার, মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল, মার্কিন কংগ্রেসনাল মেডেলের মতো 'ট্রিফেক্টা' (তিনটি পুরস্কার) লাভ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ঠিকই দ্বিতীয়বারের মতো বিচারের মুখোমুখি করাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ড. ইউনূস সরকারের যথাযথ অনুমতি ছাড়া তিনি বিভিন্ন আয় করেছেন। এর মধ্যে নোবেল পুরস্কার এবং তার বই বিক্রি করে উপার্জিত আয়ও রয়েছে। কিন্তু নতুন করে এ বিচারের কথা শুনে হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ। এর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৩ লাখ দরিদ্র নারী থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও রয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে কে সঠিক। ড. ইউনূসের নিজ দেশের নেতা সঠিক, নাকি যিনি মুক্ত পৃথিবীর নেতা তিনি সঠিক? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রথম বিচারের বিষয়টির দিকে তাকাতে হবে।"

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রথম বিচার শুরু করেছিলেন ২০১০ সালে। যখন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর নরওয়ের টেলিভিশন সে দেশের টম হেনিম্যান নামে এক ব্যক্তির তৈরি ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করেছিল। এর এক মাস পরই শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে বিচারের মুখোমুখি করান। ওই প্রামাণ্যচিত্রে অভিযোগ করা হয়েছিল, ড. ইউনূস ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে স্থানান্তর করেছিলেন। শেখ হাসিনা এ অস্ত্রটিই ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন এবং তিনি তাকে 'রক্তচোষা' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এরপর শেখ হাসিনা তাকে চাকরিবিধি অনুযায়ী ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক বলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত করেন। এর পর থেকে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো ইউনূসের বিরুদ্ধে অ্যাকশন এখানেই শেষ। কিন্তু শেখ হাসিনা গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধেও তার আক্রমণ অব্যাহত রাখেন। তিনি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ওপরও চাপ অব্যাহত রাখেন এবং এর ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা চালিয়ে আসেন আর ব্যাংকটি ভেঙে ১৯ টুকরা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ বছরের সেপ্টেম্বরে এসে দেখা গেল শেখ হাসিনার মিশন স্বয়ং ইউনূসকেই ধ্বংস করা। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ইউনূসকে আবারো বিচারের মুখোমুখি করার।

ড. ইউনূসও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করেন এবং দাবি করেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওবামা প্রশাসনও প্রধানমন্ত্রীকে ইউনূসের ব্যাপারে ন্যায় ও স্বচ্ছ আচরণের আহ্বান জানান।''

এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার মধ্য দিয়ে সেই বিখ্যাত আর্কিমিডিস-জেনারেল মারসিলাস দ্বন্দ্বই আধুনিক যুগে উপস্থাপিত হলো। রোমান সৈনিকরা গণিতবিদ আর্কিমিডিসকে হত্যা করেছিল। কারণ তার অপরাধ ছিল, তিনি জেনারেল মারসিলাসের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকার জানিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, 'আমার সার্কেলের (বৃত্ত) ক্ষতি করো না। একই প্রতিক্রিয়াশীল চেতনা কাজ করছে ইউনূসের বেলায়।”

লেখক রাশিদুল বারি প্রশ্ন তোলেন, “রোমান সৈনিকরা গণিতের জনককে হত্যা করেছিল, কারণ তারা মূর্খ ছিল। তারা ভেবেছিল, একটি জ্যামিতির সমস্যার সমাধানের চেয়ে জেনারেল মারসিলাসের সঙ্গে বৈঠক করাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ কি সেই অজ্ঞতারই প্রতিচ্ছবি? মূলত তিনটি ঘটনা শেখ হাসিনাকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করেছে। আর তা হলো নোবেল পুরস্কার, হিংসা ও রাজনীতি।”

রাশিদুল বারির মতে, “প্রথমবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বিজয়কে মেনে নিতে পারেননি শেখ হাসিনা। কারণ তার ধারণা ছিল, নরওয়েজিয়ান নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি তাকেই এ পুরস্কার দেবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্যই তিনি এমনটা আশা করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার হিংসা। কারণ ইউনূস ক্রমেই বিখ্যাত এবং অনেক পুরস্কার অর্জন করতে থাকেন। হাসিনার ভয়, ইউনূসের এই খ্যাতি তার বাবা শেখ মুজিবকে ছাড়িয়ে যাবে। তৃতীয়ত, রাজনীতিতে ইউনূসের যোগদানের চেষ্টা।”

ড. ইউনূস স্বর্গর্ থেকে আসা কোনো ব্যক্তি নন এবং তিনি ভুলেরও ঊর্ধ্বে নন মন্তব্য করে লেখক রাশিদুল বারি বলেন, “আমি সঠিক জানি না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে এই বিচার বন্ধ করবেন। তবে আমি এই আশা করতে পারি যে তিনি কখনোই তার সৈন্যদের আর লেলিয়ে দেবেন না, মারসিলাস যেভাবে আর্কিমিডিসের পেছনে সৈন্যদের লেলিয়ে দিয়েছিলেন।”
সূত্র: কালের কণ্ঠ।


The Daily Online Post 

Wednesday, 27 November 2013